Source: bdnews24.com
সৌদি গেজেটের এক খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের উপ প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মুহাম্মদ বিন নায়িফ রোববার ‘এ নেশন উইদাউট ভায়োলেটরস’ কর্মসূচির উদ্বোধন করে তিন মাসের এই ‘সাধারণ ক্ষমার’ ঘোষণা দেন।
প্রিন্স মুহাম্মদ বিন নায়িফ বলেছেন, বসবাসের অনুমতি (ইকামা) ছাড়াই অবস্থান, অনুমতি ছাড়াই কাজ করা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের মত অপরাধের ক্ষেত্রে আগামী ২৯ মার্চ থেকে এই সাধারণ ক্ষমা প্রযোজ্য হবে।
যারা এই সুযোগ নেবেন, তাদের কোনো শাস্তি ছাড়াই দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনকি ভবিষ্যতে কাজ নিয়ে আবারও বৈধভাবে সৌদি আরবে আসার সুযোগ থাকবে তাদের।
সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী কোনো অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লে তাকে জরিমানা বা শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। দেশে ফেরত পাঠানোর আগে তার আঙুলের ছাপ রেখে দেওয়া হয়, যাতে ওই ব্যক্তি ভবিষ্যতে আর সৌদি আরবে কাজের জন্য আসতে না পারেন।
তিন মাসের এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ যারা নেবেন, তাদের আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে না বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি।
সৌদি গেজেট জানিয়েছে, দুই বছর আগে সৌদি সরকার ইকামা পরিবর্তনের যে সুযোগ দিয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এবারের এ নেশন উইদাউট ভায়োলেটরস’ কর্মসূচি।
প্রায় ২৫ লাখ অবৈধ অভিবাসী ও অবৈধ শ্রমিক আগের ওই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছিলেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশিও ছিলেন।
সৌদি গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৩ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন, যার মধ্যে ৬০ হাজার নারী কাজ করছেন গৃহকর্মী হিসেবে। এ হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার।
© 2022 BASUG | Website developed by TriConsulting.nl