প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অভিবাসন ঋণ কিভাবে পাবেন?

সূত্রঃ প্রবাস কথা/প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

অভিবাসন ঋণ প্রাপ্তির প্রাথমিক যোগ্যতাঃ

১. আপনার ঘনিষ্ঠ আত্বীয় বা নিয়োগকর্তার মাধ্যমে যদি আপনি বিদেশে চাকরির জন্য ভিসা লাভ করে থাকেন।
আবেদনকারীকে নিয়োগকারী/ব্যক্তিগতভাবে সংগৃহীত ভিসার ০২ কপি (ভিসা যাচাইয়ের জন্য) ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। উক্ত ভিসা ০৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে যাচাই করে আবেদনকারীকে ব্যাংক হতে ফোন/এস.এম.এস-এর মাধ্যমে জানানো হবে।
২. আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার ঘনিষ্ঠজন ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
৩. অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য জামিনদারের অবশ্যই আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে।
৪. ভিসা যাচাইয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে নিম্নে বর্ণিত কাগজপত্রসহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে।

ভিসা সঠিক পাওয়ার পরবর্তী করণীয়ঃ

১. অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন ফর্ম পাওয়ার আগে ব্যবস্থাপনা পরিচালক/ব্যবস্থাপক-এর বরাবর আবেদন করতে হবে।

২.  নমুনা অনুযায়ী আবেদন করার পর অভিবাসন ঋণের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।

৩. আবেদনকারীর সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।

৪. আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের সদ্য তোলা ০২ কপি করে সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।

৫. অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে।

৬. অভিবাসী কর্তৃক আয়কৃত সমুদয় রেমিটেন্স উক্ত সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করতে হবে।
৭.  অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে বীমা সুবিধা নিতে হবে।

৮. জামিনদারদের যে কোন এক জনের ব্যাংক একাউন্টের চেক এর ০৩টি পাতা (চেক MICR হতে হবে ) প্রদান করতে হবে।

৯. আবেদনকারীকে দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত ভিসা ও লেবার কন্ট্রাক্ট (যেখানে প্রাপ্ত বেতন ভাতাদির উল্লেখ আছে) এর ফটোকপি (০২ কপি) এবং স্থানীয় ভাষায় অনুবাদকৃত ভিসার ফটোকপি (প্রয়োজন সাপেক্ষে) এবং ভিসার যথার্থতা বিষয়ে বিএমইটি/বোয়েসেলের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

১০. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি (যদি থাকে) প্রদান করতে হবে।

১১. শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে ।

১২. অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী সাদা কাগজে লিখিত দিতে হবে।

১৩. আবেদনকারীর বিদেশের কর্মস্থলের ঠিকানা, টেলিফোন নং/ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি (যদি সম্ভব হয়) জমা দিতে হবে। BMET কর্তৃক ইস্যুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের উভয় পিঠের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।

১৪. কর্ম অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিতে হবে।

১৫. যে এজেন্সীর মাধ্যমে বিদেশে যাবেন অথবা বিমান টিকেট ক্রয় করবেন, সে এজেন্সী কর্তৃক সম্ভাব্য যাত্রার তারিখসহ প্রত্যয়ন।

১৬. বিমান টিকেটের ফটোকপি। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

১৭. ঋণ ফেরত প্রদানের হলফনামা।

অভিবাসন ঋণ পরিশোধের চার্জ নিয়মাবলীঃ

১. অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র শতকরা ০৯ টাকা।

২. পরিশোধের দিন হতে সর্বোচ্চ ০২(দুই) মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করা হয়।

৩. দেশ ভেদে প্রাপ্ত ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ০২ বছর (২২ টি মাসিক কিস্তিতে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হবে)। যেমনঃ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরিশাস, ব্রুনাই, কাতার, ইতালি, ইউরোপ ইত্যাদি।

৪. সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে ১০ কিস্তিতে ০১ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

BASUG on Facebook