Source: Ittefaq
সর্বাধিক সংখ্যায় অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণকারী দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। বর্তমানে ১৬২টি দেশে প্রায় এক কোটি অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতির অভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে এ শ্রমিকদের অবদান স্বীকৃতি পাচ্ছে না এবং তাদের প্রাপ্য অধিকারসমূহও নিশ্চিত হচ্ছে না। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের কার্যকর অভিবাসন কূটনীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যাতে দেশমাতৃকার উন্নয়নে ঐ শ্রমিকদের ঘাম-ঝরানো অর্থের যথোপযুক্ত স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদত্ত হয় এবং স্বদেশের উন্নয়নে তারা আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদ্যসমাপ্ত অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক ফোরামে অভিবাসন বিষয়ে সুষ্ঠু বৈশ্বিক নীতি প্রণয়নের ধারণা উপস্থাপন করেছেন। তাঁর ধারণাটিকে আমরা আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ে বাংলাদেশের মডেল হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। এর ধারাবাহিকতায় গত ৮-১২ ডিসেম্বর ঢাকায় পাঁচদিনব্যাপী ‘গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি)-এর নবম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১২৫টি দেশ, ৩০টি সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে ‘গ্লোবাল কমপ্যাকট’ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পরপরই গত ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। এ বছরে এ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল উন্নয়নের মহাসড়কে অভিবাসীরা সবার আগে।
ইতোমধ্যে আইএলও মহাপরিচালক গাই রাইডার অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং অন্যান্য কতিপয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় এসেছেন। গত ৩০ বছরে আইএলও’র কোনো মহাপরিচালকের এটা প্রথম ঢাকা সফর। উপর্যুক্ত ঘটনাসমূহ বাংলাদেশের উপর মৌলিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা ও কর্তব্য অর্জন করেছে যাতে বৈশ্বিক অভিবাসন নীতি প্রণয়নে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ অংশগ্রহণ অভিবাসী শ্রমিকদের। অথচ এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো সুষ্ঠু নীতিমালা গৃহীত হয়নি অদ্যাবধি। সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে সরকারের তত্ত্বাবধানের বাইরে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আমাদের লাখ লাখ শ্রমিক বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আন্তর্জাতিক পরিবেশে কাজ করার জন্য যে মানের শিক্ষা, ভাষাজ্ঞান, সংস্কৃতি-বোধ, আচরণ-বিধি, অর্থজ্ঞান থাকা প্রয়োজন, তার কোনোকিছু বিবেচনা না করে আমাদের শ্রমিকরা বিদেশে কলুর বলদের মতো খেটে যাচ্ছেন এবং তাদের প্রেরিত অর্থে আমাদের জাতীয় আয়ের সৌধ রচিত হচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, আমাদের অভিবাসী শ্রমিকদের অর্ধেকই অদক্ষ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের অভাবে শ্রমিকরা বিদেশ থেকে বড় অংকের অর্থ উপার্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি’ সত্ত্বেও শ্রমিকদের দক্ষতা তৈরির কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
বেদনাদায়ক হলো আমাদের ৫০ শতাংশ অদক্ষ অভিবাসী শ্রমিককে কাগজপত্রে বিএমইটি ‘কমদক্ষ’ বা ‘লেস স্কিলড’ হিসেবে উল্লেখ করছে। বাকি ৫০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ আধা-দক্ষ (সেমিস্কিলড), ৩১ শতাংশ দক্ষ এবং মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ পেশাদার। অভিবাসন বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়্যারবির মতে, অদক্ষতার কারণে বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকরা মূলত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ পান। এক্ষেত্রে তাদের বেতন খুব কম হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয় না। ফলে পদে পদে তারা হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হন।
দ্বিতীয়ত, নিবন্ধিত বিদেশ গমনেচ্ছুদের মধ্য থেকে নিয়োগকারীর চাহিদা মোতাবেক নিয়োগদানের বিধান থাকলেও তা পাশ কাটানো হচ্ছে নানাভাবে। এজেন্সীগুলো কর্মী বাছাইয়ের পর নিবন্ধিত করে থাকে। ফলে বিদেশগামীদের খরচ মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যায়। তাছাড়া, বিধির বাইরে ভিসা বেচা-কেনার রেওয়াজ চলছে। গত অক্টোবরে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) ও রামরুত-এর এক যৌথ গবেষণায় দেখা যায় যে, মাত্র ১৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ কর্মী এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যান। বাকিদের ৫২ শতাংশ দালালের মাধ্যমে এবং ২১ শতাংশ আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশের দরিদ্র অভিবাসী শ্রমিকরা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ জলাঞ্জলি দিয়ে, একটুকরো রুটি-রুজির জন্য লক্ষ্যহীন গন্তব্যে বিদেশ যাত্রা করেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইএমও) তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় হয় বাংলাদেশি শ্রমিকদের। কারণ তাদের প্রদত্ত অর্থের ৬০ ভাগ ভোগ করে দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর মতে, অভিবাসী সুরক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশিরা। উদাহরণস্বরূপ কুয়েতে বিদেশি শ্রমিকদের কাজের জন্য খরচ হয় এক হাজার ৯৫৫ ডলার, অথচ বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে তা পাঁচ হাজার ১৫৪ ডলার। ১৮ ডিসেম্বর একটি সহযোগী দৈনিকে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌদি আরবে কাজের জন্য সরকার নির্ধারিত খরচ হলো এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা, কিন্তু মূলত ব্যয় হয় আট লাখ টাকা। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে যেতে কমপক্ষে ছয় লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে, ফলে অন্যান্য দেশের কর্মীরা দুই-তিন মাস কাজ করে খরচ উঠিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে তা প্রায় দু’বছর। এ সময়ের মধ্যে ভিসার মেয়াদ ও চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। ঠিক তখনি সর্বস্ব হারিয়ে বসেন তারা। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বা এমজেএফ-এর এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৩৪ ভাগ বাংলাদেশি অভিবাসী ভিটা-বাড়ি ও জায়গা-জমি এবং অন্যান্য সহায়-সম্বল বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়ে বিদেশে যাওয়ায় অর্থ জোগাড় করেন।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় আয়ের অংশীদার অভিবাসন খাতে আধুনিকীকরণ করে গতিশীলতা আনয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতির ক্ষেত্রে স্বচ্ছ, প্রাণান্ত, উদ্ভাবনী ও গতিশীল নীতি প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই। আমরা আনন্দিত যে, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে অভিবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। উদাহরণস্বরূপ এ বছর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ লাখ ২২ হাজার একশ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে (দৈনিক জনকণ্ঠ ১৯/১২/২০১৬)। মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রম বাজার পুনরায় চালু করে বৈদেশিক কর্মসংস্থান আরো জোরদার হবে। অভ্যন্তরীণ নীতির ক্ষেত্রে উপরে যে সমস্যাগুলোর আলোচনা করা হলো, তা নিরসন করে শীঘ্রই কার্যকর অভিবাসন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন এক্ষেত্রে গতিশীল ও শক্তিশালী অভিবাসন কূটনীতি। এ বিষয়ে, পরে বিস্তারিত লেখার প্রত্যাশা রইলো।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে প্রথমেই নিবিড় দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করতে হবে। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আধুনিকীকরণ ও শক্তিশালী করতে, উন্নত দেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাননীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তবে আমরা ততোক্ষণ পর্যন্ত স্বস্তি পাবো না যতোক্ষণ পর্যন্ত তার এ বক্তব্যকে কূটনৈতিক পাড়ার নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে কার্যকর প্রদক্ষেপে যুক্ত করা না হবে। অভিবাসন কূটনীতিকে সাবলীল করার কয়েকটি পরামর্শ বিবেচনা করা যায়।
অভিবাসন শ্রম ও অভিবাসন শ্রমিক ইস্যুটি পররাষ্ট্রিক সম্পর্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন উইং নামে একটি বিভাগ চালু করা দরকার। সমস্যা হলো এ বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং এ মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্রিক সম্পর্কের দক্ষতা নেই। এখন প্রশ্ন হলো এ দুটি মন্ত্রণালয়ের নিবিড় যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে অভিবাসন ইস্যুটি যথেষ্ট যোগ্যতা সহকারে ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায় কি না। যদি এ পদ্ধতিকে শক্তিশালী করতে হয়, তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন শাখাটিকে যথেষ্ট স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে হবে। এক্ষেত্রে এ দুই মন্ত্রণালয়ের পারস্পরিক সম্পর্কের আন্তঃবিন্যাস সাধন করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের পুনর্বিন্যাসের আরেকটি বৈপ্লবিক বিকল্প হতে পারে এ সংক্রান্ত নতুন মন্ত্রণালয় গঠন করা।
দ্বিতীয়ত, অভিবাসন কূটনীতির পরিপক্কতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক তৈরির প্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি। আমাদেরকে অদক্ষ শ্রমিকের দুর্নামের বলয় ভেঙে আধা-দক্ষ বা দক্ষ শ্রমিক বলয়ে প্রবেশের সম্ভাবনাসমূহ কাজে লাগাতে হবে। তৃতীয়ত, প্রাতিষ্ঠানিক স্থাপনার পাশাপাশি অভিবাসন শ্রম বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে এবং যুগান্তকারী ‘একাডেমিক ডিসকোর্সের’ সঞ্জীবনী যুগের সূচনা করতে হবে।
চতুর্থত, অভিবাসন শ্রমের ধারণা দেশ ও জাতির রন্ধ্রে বন্ধ্রে ঢুকিয়ে দিতে হবে। এজন্য সর্বব্যাপী গণসংযোগ অত্যাবশ্যক। আমাদের পত্র-পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, রেডিও, টিভিসহ সকল প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে এ বিষয়ে সচেতনতা ও জ্ঞান সঞ্চারিত করতে হবে। অভিবাসন দিবস-২০১৬ এর সঙ্গে সংগতি রেখে সর্বাগ্রে অভিবাসন ধারণাটিকে চেতনা হিসেবে উপস্থাপিত করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত সকল বিষয়ের জ্ঞান, ট্রেনিং ও দীক্ষা অর্জনের জন্য সবাইকে উজ্জীবিত করতে হবে। দেশের সীমানার মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প যেমন আমাদের জাতীয় আয়ের সিংহভাগের অংশীদার, সীমানার বাইরে অভিবাসী শ্রমের আয়ও তেমনি বৃহত্ অংশীদার। এ দুটি খাতকে বৈশ্বিক বলয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে পরিমাণ শিক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজন, তার সবটুকু আমাদের পূরণ করতে হবে। বিজিএমইএ উত্তরায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত করে এক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে আছে। আমাদের সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অভিবাসন শ্রম বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রকৃতি হবে কারিগরি কিন্তু এর পরিধি ও ব্যাপ্তি কারিগরি ও অকারিগরি খাতকে একীভূত করে সর্বদিগন্ত প্রসারিত হবে।
পঞ্চমত, সুশীল সমাজের বিশিষ্ট জনদের নিয়ে একটি ‘ক্রস-ফাংশনাল টিম’ গঠন করা যায়, যারা ‘শুভেচ্ছা দূত’ বা সিভিল সোসাইটি অ্যামবেসেডর হিসেবে বহুমুখী ভূমিকা পালন করবে। তাদের মধ্য থেকে পররাষ্ট্রিক বিষয়ে অভিজ্ঞ অংশকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গ্রুপ গঠন করা যায়, যারা অভিবাসী শ্রমের স্বাগতিক দেশগুলোতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ঐ সকল দেশে বাংলাদেশের অভিবাসন শ্রমের গুরুত্ব ও তাত্পর্য তুলে ধরবে এবং বাংলাদেশের অভিবাসন শ্রমের বৈশ্বিক ব্রান্ডের মৌলিক কাঠামো গঠনের পাশাপাশি তার আন্তর্জাতিক বাজারজাতকরণ বা গ্লোবাল মার্কেটিংএর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
লেখক :প্রফেসর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিন স্কুল অব বিজনেস এন্ড সোস্যাল সাইন্সেস, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ইমেল:mranin68@yahoo.com
© 2022 BASUG | Website developed by TriConsulting.nl